আল-কুরআনের পরিচয়
- সবার জন্য কুরআন
- Aug 9, 2022
- 2 min read
আল-কুরআন আল্লাহতায়ালার বাণী বা কালাম। তিনি আল-কুরআনকে তার কালামের নাম হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি এটিকে কুরআনুল মাজিদ, কুরআনুল কারিম ইত্যাদি নামেও উল্লেখ করেছেন (কুরআন শরিফ নয়)।
পুস্তক হিসাবে এটি পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি না-বুঝে পড়া বই। আল- কুরআন সৃষ্ট নয়, এটি আল্লাহতায়ালার সিফাত। কুরআন একটি আরবী মূল শব্দ, কোন শব্দ হতে উদ্ভুত নয় যার অর্থ পড়া। আল কুরআন আয়াত ও অর্থ উভয়ের সমষ্টির নাম এবং এর শব্দ, ভাষা, অর্থ, মর্ম, ভাব সবকিছুই আল্লাহতাআলার। আল-কুরআন আরবি ভাষায় ফেরেশতা হযরত জিবরাঈল (আ:) এর মাধ্যমেনবী মুহাম্মদ (স:)-এর উপর ধারাবাহিকভাবে নাযিল হয়ে রাসূল (সা:) থেকে সন্দেহাতীত পরম্পরায় আমাদের নিকট লিপিবদ্ধ বই আকারে পৌছেছে।
আল-কুরআন আপনার সাথে আল্লাহর কথোপকথন। মানুষের জন্য আল্লাহতায়ালার এতো বড় নেয়ামত আল-কুরআন নিয়ে আমাদের উচ্ছ্বাস আর পঠন-পাঠন তেমন নেই। এটি ধর্মগ্রন্থ হিসাবে আমাদের আবেগে স্থান পেয়েছে কিন্তু এখনও ধর্ম চর্চায় প্রধান উপজীব্য হয়ে উঠেনি।
এই পুস্তকের তেলাওয়াত ইবাদত হিসেবে গণ্য এবং নামাজে পঠিত। সুরা ফাতিহা হতে শুরু হয়ে সুরা নাস দিয়ে শেষ হয়ে আল-কুরআনে মোট ১৪৪ টি সুরা রয়েছে। এটি যাবতীয় পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন-বিয়োজন হতে পৃথিবীতে ও লওহে মাহফুজে সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত। আল-কুরআন মানবজাতির জন্য রুহ ও হেদায়েত স্বরুপ।

এটিই হক্ব ও মানুষের জন্য যথার্থ ন্যায়সঙ্গত। আল-কুরআন মানবজাতির জন্য নুর বা আলোকবর্তিকা এবং শিফা বা আরোগ্য লাভের উপায়। রাসুল (সা:) নিজে আল-কুরআন দেখে পাঠ করতেন, আল-কুরআনেও দেখে পাঠ করার জন্য বলা হয়েছে। আল-কুরআন সাত (৭) ধরনের হরফে (আঞ্চলিকতা/একসেন্টে) অবতীর্ণ হয়েছে এবং খলিফা উসমান ইবনে আফফান (রা:) শুধুমাত্র হরফে কুরায়শি ব্যবহার করে আল-কুরআন বর্তমানে প্রচলিত রুপে সংকলন করেন। ইমাম যারখাসি (র:) আল-কুরআনের সাথে সম্পৃক্ত বিষয় হিসাবে ৪৭ টি বিষয়কে চিহ্নিত করেছেন।
অন্যদিকে ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি (র:) পূর্ববর্ত্তীদের বক্তব্য বিশ্লেষণ করে ৮০ টি বিষয় উল্লেখ করেছেন। আল-কুরআনের সাথে আপনার আকিদার মৌলিক সম্পর্ক রয়েছে। আল-কুরআনের পরিচয় নিয়ে শিয়া, জাহমিয়া, আশারিয়া, মাতুরিদি ইত্যাদি গোষ্ঠীর ভ্রান্ত মতবাদ রয়েছে। আল-কুরআন আপনার সাথে আল্লাহর কথোপকথন। মানুষের জন্য আল্লাহতায়ালার এতো বড় নেয়ামত আল-কুরআন নিয়ে আমাদের উচ্ছ্বাস আর পঠন-পাঠন তেমন নেই। এটি ধর্মগ্রন্থ হিসাবে আমাদের আবেগে স্থান পেয়েছে কিন্তু এখনও ধর্ম চর্চায় প্রধান উপজীব্য হয়ে উঠেনি।
(সবার জন্য কুরআন থেকে সংকলিত)
Comments